Atheism-নাস্তিক্যবাদ Universal argument নিয়ে fallacy

Sourastra Das
9 min readMar 20, 2024

--

সৌরাষ্ট্র দাশ ব্লগ

ভূমিকা : প্রথমেই বলে রাখি’ এই লেখা শুধুমাত্র সঠিক বিষয় টিকে জানার জন্য কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। কিন্ত শরদিন্দু’ বিশ্বাস এর একটি পোস্ট “আমি আস্তিক” তার এই ধরণের অযৌক্তিক childish পোস্ট চিন্তায় ফেলে দেয়। তিনি যে ভাবে নাস্তিক ও আস্তিক কে ব্যাখ্যা করেছে তা সত্যিই হাস্যকর যা আজকের সময় Universal argument নয়। তার কারণ, উনি ভারতীয় দর্শন নিয়ে এই উপমহাদেশের নাস্তিকদের সাথে শব্দ নিয়ে খেলতে পারে কিন্ত এই উপমহাদেশের বাইরের নাস্তিকদের সাথে নয়। আজকের সময় ভারত বাদে ইউরোপ আমেরিকা বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত নাস্তিকদের আমরা চিনি তার ভেতর আমরা ইউরোপের রিচার্ড ডকিন্স বা আমেরিকার ক্রিস্টোফার হিচেন্স, ড্যানিয়েল ডেনেট, ম্যাট ডিলাহান্টি এমন বহু নাস্তিকদের সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্ত শরদিন্দু বিশ্বাসের এই পোস্ট পশ্চিমবঙ্গের সর্ব প্রথম বাংলা ভাষায় নাস্তিক সম্মেলন সফল হবার পর হলো কেন ? এটাই প্রশ্ন, হিন্দু মুসলিম তথাকথিত বামপন্থীদের মতো কি এখন মতুয়াদের নাস্তিক সম্মেলন নিয়ে ভয় হচ্ছে। আপনারা জানেন প্রায় 300 মতো মানুষের আগমন হয়েছিল এই নাস্তিক সম্মেলনে। এই শরদিন্দু’র পোস্ট যদি হিংসার জন্য হয়! তাহলে উনি ভুল করছে। তার কারণ হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান এমন কি মতুয়ারাও কুসংস্কারের বিশ্বাসী সেখানে তারা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে থাকবে সেটা স্বাভাবিক যেহেতু তারা ভাববাদী যাইহোক মূল বিষয় আসি ওনার নাস্তিক আস্তিক argument

শরদিন্দু বিশ্বাসের পোস্ট এর খন্ডন

[1]

[1] উনি যখন শুরুটাই ভুল argument দিয়ে করেছে। সেখানেই ওনার জ্ঞানের অভাব কতটা আমরা দেখতে পারছি। সেখানে ওনার এই পোস্ট কে childish না বলে থাকতে পারছি না।

নাস্তিকতা কোনো প্রকার বিশ্বাস নয়। সেখানে উনি বিশ্বাস না করলেই বা কি এসে যায়। নাস্তিকতা ঠিক কিসের উপর বিশ্বাস করে? উনি পরিস্কার করেনি। উনি আস্তিকতা বিশ্বাস করেন। তা কিছুটা পরিষ্কার করেছেন।

আচ্ছা শরদিন্দু বাবু কি আল্লাহ উপর বিশ্বাস করেন? উনি কি খ্রিস্টানদের পবিত্র আত্মাতে বিশ্বাস করেন? তার কারণ উনি যা নাস্তিকতা নিয়ে শব্দের অপব্যবহার করেছে। সেখানে সেইসব argument তো Universal নয় উল্টে argument logical fallacy সেখানে তার প্রতিটা কথাই অন্ধকারে থেকে গেছে! নাস্তিকতা নিয়ে, ভারতের দর্শন নিয়ে আজকের সমাজ বিচার করা childish আচরণ” ছাড়া কিছুই নয়। এইসব প্রশ্ন হিন্দুত্ববাদীদের থেকেও পেয়ে থাকি…

উনি দাবি করেছেন! যে ( আস্তিক হয়ে ওঠেন ঈশ্বর বিশ্বাসী আর নাস্তিক হয়ে ওঠেন যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক এবং প্রগতিশীল! )

কিন্ত উনি আস্তিক বিষয় সঠিক জবাব দিলেও নাস্তিকতা নিয়ে ভুল জবাব দিয়েছেন।

  1. নাস্তিকতা হলো! god সঠিক প্রমাণের উপর অবিশ্বাস।
  2. যুক্তিবাদ হলো! একটি দৃষ্টিভঙ্গী যা যুক্তিকে জ্ঞানের উৎস ও সত্য প্রতিপাদনের একমাত্র মাধ্যম মনে করে।
  3. বিজ্ঞানমনস্ক ! যে মানুষ সংস্কার মুক্ত, সংগঠিত,সংশয়বাদী, জিজ্ঞাসুমনা, বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি ও প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল এবং যেকোনো আপ্তবাক্য অনুসারে চালিত হয় না- তিনিই বিজ্ঞানমনস্ক।
  4. প্রগতিশীল! হচ্ছে উন্নতি বা পরিবর্তন হওয়া।

এবার হয় তো আপনাদের ভেতর প্রশ্ন হতে পারে প্রথম বিষয়। আমি কেন ? “god” লিখলাম। সেখানে God আল্লাহ ভগবান কেন লিখলাম না। উত্তর খুব সহজ Non Universal argument কে Universal argument দিয়ে খন্ডন করতে হবে। সেখানে আমি দেকার্ত দার্শন ও স্পিনোজার দর্শন কে ব্যবহার করবো তার কারণ শরদিন্দু বিশ্বাসের পোস্টাই তেমন। এর জন্য আমিও একটি দার্শনিক ছবি ব্যবহার করছি।

যা খন্ডন করা শরদিন্দু বিশ্বাসের কাছে সত্যিই কঠিন। উনি যখন শব্দের খেলা যখন পছন্দ করে। সেই শব্দের খেলাই দিলাম, Universal argument অনুযাই এবং নাস্তিকতা শুধুমাত্র ইশ্বর বা god এর সঠিক প্রমাণের অবিশ্বাস কিন্ত নাস্তিকদের সহায়ক হলো যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্ক, বস্তবাদ, প্রগতিশীলতা এর বাইরেও কিছুই না।

উনি বলেছেন।

এই নাস্তিকদের মগজে যে ঈশ্বরের অস্তিত্বটি সযত্নে লালিত হচ্ছে তা কিন্তু বোঝা যায়। নতুবা আস্তিক বললেই এরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পান কী ভাবে!

এই হলো ওনার আরেকটি argument যার কোনো যুক্তি নেই। আমি জানি না! “এই নাস্তিক?” বলতে উনি কাদের বা কাকে টার্গেট করেছে।

নাস্তিকরা ইশ্বর নিয়ে চিন্তিত নয়। যদি হতো তাহলে নাস্তিকতা এক প্রকার ধর্ম ও ধর্মীয় বই ধর্মীয় অনুভূতি বিশ্বাস হতো যা নাস্তিকতা পরিপূর্ণ সম্পূর্ণ ভিন্ন’ সেখানে ইশ্বরের অস্তিত্ব নাস্তিকরা না পেলেও শরদিন্দু বিশ্বাস আপনি তো পেয়েছেন? নিশ্চয়ই নিজেকে আস্তিক বলে।

নাস্তিক আপনার argument এতোটাই দুর্বল যে সঠিক Universal argument দিতে এতোটাই argument logical fallacy করতে হচ্ছে যে শেষে এটাই বলছেন।

পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে বস্তুকে প্রত্যক্ষ করা যায়, স্পর্শ করা যায়, স্বাদগ্রহণ করা যায় এবং ঘ্রাণ নেওয়া যায়। বস্তু বিবর্তনশীল। বস্তু শক্তির আধার। বস্তুর "অস্তি” তে বিশ্বাসীরাই আস্তিক।

এই argument নিয়ে কি আপনি আস্তিকতা নাস্তিকতা শুধু করেছিলেন? উপরে তো অন্য কথাই বলা আছে।

(2)

উনি কি নিজেই নিজেকে খন্ডন করছে না !ইশ্বরের বিষয় টেনে এনে ?

[2] উনি এখন এই বিতর্কের অপূর্ব সমাধান করেছেন কপিল কে ব্যবহার করেছে। কিন্ত এই Universal argument হবে।

উনি বলছেন নাস্তিকরা শূণ্যবাদের অনুসারী। কি কথার কি আদেও প্রমাণ আছে! এই কথা যদি উনি আমেরিকার Daniel Dennett কাছে রাখে তাহলে সেখানেই সব argument ফেল হয়ে যাবে তার কারণ এটা Universal argument নয় কিন্ত শরদিন্দু বিশ্বাস কি আলেও জানে ? শূণ্যবাদ হলো বৌদ্ধদের নাগার্জুন দর্শন। কিন্ত সেই দর্শন তো সংশয়বাদ নিয়ে চলে।

আবার উনি বলছেন “এদের একটি প্রাচীন শ্লোগান ছিল।

উনি হয় তো জানেন না। ওটা নাগার্জুনের শূণ্যবাদের শ্লোগান নয়। এটা চার্বাক বা লোকায়ত দের শ্লোগান ছিল। যেটা শরদিন্দু বিশ্বাস যে রেফারেন্স দিয়েছে। সেটাও বিকৃত শ্লোক যা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা প্রচার করেছে। আর চার্বাকদের সম্পর্কে আমরা তাদের সমালোচকদের থেকেই তথ্য পাই। কিন্ত শরদিন্দু বিশ্বাস ব্রাহ্মণ্যবাদী বিরোধী হয়েও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের তথ্য দিচ্ছে।

যাবৎ জীবেৎ তাবৎ ভবেৎ। ঋণং কৃত্যয়া ঘৃতং পিবেৎ।

উনি আবার এই কথা সাঁওতাল আদিবাসীদের ভেতর ও পেয়েছে।

কিন্ত আমি চার্বাক এর এই শ্লোকের বিষয় যাব। এক ভাবে শরদিন্দু বিশ্বাসের অজ্ঞতা আপনাদের এই বিষয় নতুন তথ্য দেবে।

যাবজ্ জীবেৎ সুখং জীবেদ্ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ।

ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমং কুতঃ।।

অর্থাৎ, যতদিন বাঁচবে, সুখে বাঁচবে; ধার করে ঘি খাবে। ছাই হয়ে যাওয়া দেহ কোথায় (বা কোথা থেকে) আবার ফিরে আসে?

( উৎসঃ সায়ন-মাধব এর সর্ব দর্শন সংগ্রহ)

প্রথমেই একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো, চার্বাকদের লেখা কোনো বইপত্র এখনো অবধি পাওয়া যায়নি, সেগুলো বিলুপ্ত। চার্বাক এর সম্বন্ধে যতটুকু জানা যায়, তা বিরোধীপক্ষের গ্রন্থ থেকেই। চার্বাককে খন্ডন করার জন্য এর বিরোধীরা পূর্বপক্ষ হিসেবে এর উল্লেখ করেছিলেন, অনেক সময়ই চার্বাক দর্শনকে তারা বিকৃত করেছেন। তারপরেও চার্বাক সম্বন্ধে জানার জন্য এর বিরোধীদের লেখাই হল একমাত্র সম্বল। তবে বিরোধীদের কাছ থেকে চার্বাক সম্বন্ধে জানার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক, যেহেতু মূল দর্শনের বিকৃতির যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

সায়ন-মাধব তার সর্বদর্শনসংগ্রহের প্রথম অধ্যায়ের শেষের দিকে চার্বাক এর নামে প্রচলিত কুখ্যাত উক্তি, ‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার’ উল্লেখ করেন। কিন্তু অধ্যায়ের শুরুতেই তিনি সেই শ্লোকটি অন্যভাবে বর্ণনা করেন-

যাবজ্ জীবং সুখং জীবেন্ নাস্তি মৃত্যোর্ অগোচরঃ।

ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমং কুতঃ।।

এই শ্লোকটি প্রথম পাওয়া যায় বিষ্ণু ধর্মোত্তর মহাপুরাণ নামে একটি উপপুরাণে। এর বয়স আনুমানিক খ্রিস্টীয় ৫ শতক। সর্বদর্শনসংগ্রহের প্রায় হাজার বছর আগে এটি রচিত। এখানে বলা হচ্ছে-

মুগ্ধা এবং প্রতার্যন্তে ধূর্তৈর্ ধন-জিহীর্ষয়া।

যাবজ্ জীবং সুখং জীবেন্ নাস্তি মৃত্যোর্ অগোচরম্।।

ভস্মীভূতস্য শান্তস্য পুনরাগমনং কুতঃ।

নাস্তি দত্তং হুতং চেষ্টং ন দেবা ঋষয়ো ন চ।।

অর্থাৎ, ধন হরণ করার ইচ্ছায় ধূর্তরা এই ভাবে মোহিত লোকেদের প্রতারণা করে। যতদিন বাঁচবে, সুখে বাঁচবে; মৃত্যুর অগোচর কিছুই নেই। ছাই হয়ে যাওয়া প্রাণহীন দেহ কোথায় (বা কোথা থেকে) আবার ফিরে আসে? দান, আহুতি, আচার,দেবতা, ঋষি বলে কিছুই নেই।

এটিই হল আসল শ্লোক। পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রন্থে নানাভাবে পরিবর্তিত হয়ে এটি উক্ত হয়েছে। “তত্ত্বসংগ্রহপঞ্জিকায় এর দ্বিতীয় চরণটি ‘ভস্মীভূতস্য শান্তস্য ইত্যাদি’ হিসাবে উদ্ধৃত হয়েছে। তবে ন্যায় মঞ্জুরীতেই প্রথম ‘যাবজ জীবং…পুনরাগমং কুতঃ’ এই দুটি চরণ একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ শ্লোক হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে। যশস্তিলক চম্পূ, পরিশুদ্ধি, মুগ্ধবোধিনী (নীতিবাক্যামৃতব্যাখ্যা) ও দোহাকোষ এর অদ্বয়বজ্র কৃত ভাষ্যে ‘নাস্তি মৃত্যোর্ অগোচরঃ’ বা ‘তাবৎ মৃত্যোর্ অগোচর’ পাঠই পাওয়া যায়। জৈন লেখক অভয়দেব সূরিও তত্ত্ববোধবিধায়িনীতে সম্ভবত জয়ন্তভট্টর পাঠই অনুসরণ করেছেন। সর্বদর্শনসংগ্রহ এর সমকালে সর্ব দর্শন কৌমুদীতে ন্যায় মঞ্জুরীর পাঠই উদ্ধৃত হয়েছে, শুধু শান্তস্য এর বদলে আছে দেহস্য। তবে ন্যায় মঞ্জুরীর কোনো কোনো পুঁথিতে, জীবং এর জায়গায় জীবেৎ আর শান্তস্য র জায়গায় দেহস্য পাওয়া যায়।“

দ্বাদশ শতাব্দী থেকে শ্লোকটির বিকৃতি শুরু হয়। জৈন দার্শনিক হেমচন্দ্র বিকৃত করে লেখেন-

যাবজ্ জীবেৎ সুখং জীবেৎ বৈষয়িকৈঃ সুখৈঃ।

ন তাম্যেদ ধর্ম-কার্যায় ধর্মাধর্ম-ফলং ক্ব তৎ।।

অর্থাৎ, যতদিন বাঁচবে সুখে বাঁচবে, ইন্দ্রিয়ের সুখ নিয়ে, ধর্মকর্ম নিয়ে (বৃথা) ভাবনা করবে না। ধর্ম-অধর্ম র ফল কোথায়?

আর এক জৈন লেখক গুণরত্ন প্রথম চরণটিকে বিকৃত করে লিখেছেন,

যাবজ্ জীবেৎ সুখং জীবেৎ তাবৎ বৈষয়িকং সুখম্।

অর্থাৎ, যতদিন ইন্দ্রিয়ের সুখ আছে ততদিন সুখে বাঁচবে।

দ্বিতীয় চরণের ক্ষেত্রে তিনি আবার ন্যায় মঞ্জুরির পাঠই উদ্ধৃত করেছেন।

শুধু জৈনরাই নন, ব্রাহ্মণ্য ধারার কবি শ্রীহর্ষ একই দোষে দোষী। নৈষধীয়চরিতম এ তিনি লিখেছেন,

কঃ শমঃ ক্রিয়তাং প্রাজ্ঞাঃ প্রিয়াপ্রীতৌ পরিশ্রমঃ।

ভস্মীভূতস্য ভূতস্য পুনরাগমং কুতঃ।।

অর্থাৎ, হে প্রাজ্ঞগণ (প্র+অজ্ঞ অর্থে), তোমাদের শম (শান্তি ) কি? প্রিয়ার প্রীতির জন্যে চেষ্টা করো। ছাই হয়ে যাওয়া বস্তু আবার কোথায় (বা কোথা থেকে) ফিরে আসে?

একই শ্লোকের এত বিকৃতি সত্ত্বেও সায়ন-মাধব ছাড়া অন্য কোনো দার্শনিক চার্বাকদের ‘ঋণ করে ঘি খাবার’ মত চটুল কথা লেখেননি কিন্তু তারা কেউই চার্বাকের অনুসারী বা তাদের প্রতি সহৃদয় ছিলেন না।

আরো বিস্তারিত জানে ক্লিক করুন

তাহলে এখানে আমরা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দ্বারা বিকৃত বাক্য পেলাম চার্বাক বিষয়। কিন্ত কেন শরদিন্দু বিশ্বাস এই বিকৃত তথ্য দিল? এখানেই প্রশ্ন আমার..

যাইহোক শরদিন্দু বিশ্বাস বলছে। যে ( এটা পরিষ্কার যে এই ফুর্তিবাজী ভোগবাদের মধ্যেও আছে অস্তিত্বের উপস্থিতি। এরা "ক্ষণিকবাদী" বলেই সেই "অস্তিত্ব" স্বীকার করেনা। ) মানে ওনার কোনো যুক্তিই Universal argument এর উপর নয়। উনি যে ধরণের কথা বলছে। এক পেশে খ্রিস্টান মুসলিম ইহুদি শিখ বৌদ্ধ জৈন হিন্দু এইসব ধর্ম থেকে কেউ যখন বেরিয়ে এসে নাস্তিক হয়। তার চিন্তা চেতনা দর্শন একদম ভিন্ন হয়। কিন্ত ইশ্বর আল্লাহ ভগবান গড বিষয় পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে নাস্তিকদের এক মত প্রমাণের অভাবে ইশ্বরের উপর অবিশ্বাস ইশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই। আমি হতেই ইশ্বর আমি ছাড়া নয়। তার কারণ ইশ্বর একটি কাল্পনিক চরিত্র কমিক বইয়ের মতো ঠিক যে ধরণের গল্প আমরা শুনে বড় হয়ে থাকি কিন্ত একজন নাস্তিক ভোগবাদী হবার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। একজন ব্যক্তি যখন নাস্তিক হচ্ছে। তার পরেও ধাপ যুক্তিবাদী’ বিজ্ঞানমনস্ক, মানবতাবাদী, নারীবাদী অবশ্যই হতে হবে। তার কারণ নাস্তিকতার সাথে ভালো খারাপ বলে কিছুই হয় না। নাস্তিকতা অর্থ ইশ্বরের অস্তিত্ব অবিশ্বাস তাই শরদিন্দু বিশ্বাস যতই ভারতীয় দর্শনের একটি ইস্কুল দিয়ে নাস্তিকতাকে বিচার করুক না কেন তা ব্যর্থ হবেই যেহেতু তার argument Universal নয়। তার গোটা বিষয় হলো argument logical fallacy উপস্থাপন মাত্র….এর পরেও শরদিন্দু বিশ্বাস এমন একটি বিষয় টেনে আনছে যে ভারতের বাইরে নয় ভারতের অন্য রাজ্যের নাস্তিকরা তার এই বাক্য ছুড়ে ফেলে দেবে তার তর্কে কোনো যুক্তিই নেই। উনি বলছেন।

নাস্তিকদের কাছে হাসন রজার একটি গান বেশ জনপ্রিয়। সেটি হল, "লোকে বলে, বলে রে ঘরবাড়ি বালানা আমার…

আসলে নাস্তিকদের কাছে সব গান জনপ্রিয় হতেই পারে। বাংলা,হিন্দি, ইংলিশ, উর্দু , ফার্সি, পাঞ্জাবি, ইত্যাদি। যে কোনো ভাষার গান ভালো লাগতেই পারে। সেটা ধর্মীয় হতে পারে। এতে সেই ব্যক্তির নাস্তিকতার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ম যেমন সব কিছুই ভাগ করে হারাম নিষিদ্ধ করে নাস্তিকরা সেইসব নিয়ে চিন্তিত নয়। চিন্তিত ধর্মের উটকো নিয়ম কানুন ও সংস্কৃতি নিয়ে।

আর এখানে শব্দের খেলা শুধু মানে আমি জল পান করি না। কিন্ত I am drinking water এটা বলছি। মানে ইশ্বর ভগবান ভিন্ন আল্লাহ ভিন্ন গড ভিন্ন কিন্ত কুসংস্কার সমান আর শরদিন্দু বিশ্বাস ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী হয়েও ব্রাহ্মণ্যবাদ ব্রহ্মজালে ফেসে এটা উনি বুঝতে পারছেন না। তার কারণ ওনার কোনো তর্ক নাস্তিকতা নিয়ে Universal ছিল না।

আর আপনারা যদি নাস্তিকতার সম্পর্কে একাডেমিক Universal argument চান তাহলে এখান থেকে পড়তে পারেন।

link

এর পর ওনার পোস্ট একজন শেয়ার করে নিজের জ্ঞানের যে উদাহরণ দিলেন তা হাস্যকর। এই মস্তিষ্ক নিয়ে যদি একাডেমিক ধার্মিকদের সাথে তর্ক করে সত্যিই বলছি 2 মিনিটে সব যুক্তি খন্ডন হবে।

প্রকৃতি কোনোদিন বলেনি যে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। প্রকৃতি নিজের গতিতে চলছে। শুরুতেই আমি স্পিনোজার দর্শন ও দেকার্ত দার্শনের কথা” এমনি এমনি বলিনি। উনি চাইলে Metaphysics আনতে পারত কিন্ত এমন বিষয় এসেছে যে Universal argument কেউ দিতে পারে না। এবং এরা বিশ্বাস ধর্ম ও প্রাকৃতি কি সেটাই বুঝতে পারছে না। এসেছে নাস্তিকতা বিষয় আলোচনা করতে ওনাদের বলবো ভারতীয় দর্শন ভালো লাগলে দুটি বই এর ছবি দিচ্ছি একটি বাংলা একটি ইংলিশ….

আর ইংলিশ বইটি পৃথিবীর বিখ্যাত বই গুলির ভেরত একটি….

--

--

Sourastra Das
Sourastra Das

Written by Sourastra Das

Indian rationalist atheist Journalist photographer

No responses yet